
দীর্ঘসময় বন্ধ থাকার পর মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় ফের মুখরিত হয়ে উঠেছে শেখ রাসেল পার্ক। তীব্র লড়াই সংগ্রামের পর নাসিক মেয়র আইভী নগরবাসীর জন্য এ পার্ক নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন, যার নির্মাণ কাজ এখনো চলমান।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্তানকে কাঁধে নিয়ে খুনসুটি করতে করতে লেকের পাড় দিয়ে হাঁটছিলেন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জামান মির্জা। পাশ থেকে বাবা-ছেলের এই খুনসুটি পরম তৃপ্তি নিয়ে উপভোগ করছিলেন মা তাহেরা বেগম। পঞ্চবটি থেকে শেখ রাসেল পার্কের লেকে ঘুরতে এসেছিলেন তাঁরা।
করোনাকালে গত ছয় মাসের বেশি সময় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বের হননি জামান। প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘসময় ওদের (স্ত্রী-সন্তান) নিয়ে একসাথে বাসা থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। শেষ ওদের নিয়ে বের হয়েছিলাম গত মার্চে। বাচ্চাটা প্রায়ই বাইরে যেতে হাত ধরে টানে। কিন্তু করোনার ভয়ে এত দিন বের হইনি। অনেক ভেবে আজ (গতকাল শুক্রবার) ওদের নিয়ে বাইরে এলাম। বাচ্চাটার আনন্দ দেখে ভালো লাগছে।’
আক্তার হোসেন বলেন, ‘করোনার এই সময়ে বাচ্চাকে নিয়ে বাসাতেই ছিলাম। একটু প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে, পাশাপাশি বাচ্চাটার মানসিক বিকাশের জন্য খোলা আকাশের নিচে নির্মল পরিবেশে বেরিয়ে এলাম। এখনো কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। তার পরও বাচ্চাটার জন্যই বের হয়েছি।’
পড়ালেখার পাশাপাশি একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপিষ্ট হিসাবে কাজ করেন জীবন। সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াবদা পুল এলাকা থেকে লেকে এসেছেন তিনি। প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে তিনি বলেন, ‘আজ তো ছুটির দিন। একটু রিফ্রেশ হতে এখানে এসেছি। অনেক দিন পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো। দুজনে একটা ভালো সময় কাটালাম।’
সৈয়দপুর থেকে লেক পার্কে ঘুরতে আসেন অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালের মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার সবুজ শেখ। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহের ছয় দিনই আমাদের অফিস। ছুটির দিনটা উপভোগ করতে তাই পরিবার নিয়ে এখানে এসেছি।’
No posts found.